hh

সত্যিকারের ভালবাসা কোনটি

সত্যিকারের ভালবাসা কোনটি

 একজন মানুষের জীবনে দুই ধরনের চাহিদা থাকে, 

1:- Physical 

2:- Emotional 

বিভিন্ন সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে মানুয় সাধারণত এই দুই ধরনের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করে থাকে৷ যে চাহিদা গুলোকেই আজ আমরা ভুল করে ভালবাসার নাম দিয়ে ফেলেছি৷ 

আমার একটা ইমোশনাল চাহিদা রয়েছে এই পৃথিবীর সাথে সব সময় সংযোগ থাকার আর তার জন্য দরকার একটা মোবাইল এর৷ এবার এই চাহিদা টাকেই নাম দিয়ে বলে ফেলি, আমি আমার মোবাইল টাকে ভালবাসি৷ 

আমার একটা চাহিদা রয়েছে নিজের মনের কথাগুলো কারো সাথে শেয়ার করার, আর তাই আমি একটা Best Friend বানিয়েছি, আবার এই চাহিদা টাকেই আমি ভালবাসার নাম দিয়ে দিয়েছি, আর ঠিক আমার মতোই উল্টো দিকে যিনি রয়েছে তিনি ও তার কোন একটা চাহিদা পূরণ করার জন্য আমার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে আর ঠিক আমার মতোই ভালবাসার নাম দিয়েছে৷ 

এবার যখন দুজনের চাহিদা এক পথে হাটছে তখন ভালবাসা ঠিকই আছে, কিন্তু যেই মুহুর্তে দুজনের চাহিদা বিপরীত দিকে হাটতে শুরু করে তখনি আসল খেলাটা চোখে পরে৷ তখন থেকে জন্ম নেয় ঝামেলার আর ভালবাসাটা কোথায় জানো উধাও হয়ে যায়৷ যারা একে অপরের জন্য পাগল ছিল তারাই একে অপরের শত্রু হয়ে যায়৷ 


কিভাবে পছন্দের মানুষকে ভালবাসার মানুষ বানানো যায়


একটা উদাহরণ সরূপঃ- 

ইন্জিনিয়ারিং এর Final year এর একটা ছাএ তার বাবাকে এসে বললো, " আমার মনে হয় আমার জন্য ইন্জিনিয়ারিং না, আমি ফটোগ্রাফিতে আমার কেরিয়ার গড়ে তুলতে চাই৷ আমি তোমার কথা মতো ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হয়েছিলাম ঠিকি, কিন্তু কোন দিন আমি ইন্জিনিয়ারিং এ আনন্দ খুজে পাইনি৷ যেখানে ফটোগ্রাফিতে আমি প্রতি মুহূর্তে নতুন আনন্দ খুজে পাই আর তাই আমি কলেজ Dropout এর সিদ্ধান্ত নিয়েছি"৷ 

বাবা তখন তাকে বলে উঠলো, "অপদার্থ, এতগুলো টাকা খরচ করে এই জন্য আমি তোমাকে ইন্জিনিয়ারিং এ ভর্তি করলাম৷ ছি ছি, আমরা সমাজে মুখ দেখাবো কি করে? ওই ফটোগ্রাফিতে কোন ভবিষ্যৎ নেই৷ হয় ইন্জিনিয়ারিং শেষ করো আর না হয় বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও"৷ 

এটা কি ভালবাসা? 

তাহলে আসল ভালবাসাটা কী? 

তার মানে কী বাবর ছেলেকে বলা উচিত যে হ্যা তুই ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছিস যা এবার পড়াশোনা বাদ দিয়ে ফটোগ্রাফি শুরু কর৷ 

তাহলে কী এটা ভালবাসা? 

কী মনে হয়? 

না এটা ভালবাসা না৷ একটা কঠিন বাস্তব হলো ভালবাসা এমন একটা জিনিস যা আমাদের মধ্যে ৯৯% মানুষের দেওয়ার ক্ষমতা নেই, তার কারন আমরা কাউকে তখনি সেই জিনিসটা দিতে পারি যেটা আগে থেকেই আমাদের কাছে আছে, যেটা আমার নিজের কাছেই নেই সেটা আমি অন্য একজনকে কিভাবে দিবো৷ 

আমাদের সবার মধ্যেই সবচেয়ে বড় যে ইচ্ছেটা রয়েছে তা হলো সমস্ত রকম হাসি, কান্না, ব্যাথা, বেদনা সবকিছু থেকে মুক্তি৷ 

যখন আমরা সম্পূর্ণ স্বার্থহীন ভাবে যখন কারো জন্য কিছু করি তখন সেটা হয় সত্যি ভালবাসা৷ যেখানে চাহিদা আর স্বার্থতার কোন অস্তিত্ব নেই৷ 


কেউ অপছন্দ করলে কী করবো


আচ্ছা তাহলে সেই বাবা আর ছেলের ব্যাপারটা কী হলো? সেই ক্ষেএে বাবা যদি তার ছেলেকে সত্যিই ভালবাসতো তাহলে সে তার ছেলেকে কী বলতো? 

প্রথমত বাবা তার ছেলেকে কখনোই অপদার্থ বলতে পারতো না কারন তার বাবা আগে থেকেই পরিপূর্ণ৷ বাবার তার ছেলের কাছ থেকে নিজের জন্য চাওয়ার কিছুই নেই৷ 

তাহলে সে তখন কী করতো? ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় বোঝাাতো যে সে কেন মনে করছে তার সিদ্ধান্তটা এই মুহূর্তে ঠিক না৷ তার সাথে নিজের অভিজ্ঞতা টা ঠান্ডা মাথায় শেয়ার করতো এবং তার পরেও যদি তার ছেলে না বুঝতো তাহলে কখনোই তাকে চাপ দিতো না যে তার বাবা যেটা চায় সেটাই করার জন্য৷ কারণ তার ছেলের কাছে তার চাওয়ার কিছুই নেই সেটা সমাজের মুখ দেখানোর কথা হোক বা ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করাই হোক৷ 

কিভাবে প্রিয় মানুষকে ভালবাসতে হয়

এখন অনেকেই বলতে পারে বাবার ছেলের কাছে এইটুকু চাহিদা থাকতেই পারে এতে দোষের কী আছে?

এতে দোষের কিছুই নেই৷ আমি আসলে বলছি আমরা যেটাকে ভালবাসা বলে ভুল করছি সেটা আসলে ভালবাসা না, সেটা চাহিদা৷ সত্যিকারের ভালবাসা কাকে বলে সেটাই বুঝানোর চেষ্টা করলাম৷ আর একটা সন্তানের কাছে তার বাবা-মা এইটুকু চাইতে পারবেই তার ভবিষ্যতের জন্য এতে চাহিদার কিছু নেই৷ 

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad